পুঁজিবাজারে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে তালিকাভুক্ত খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের দুইটি পাওয়ার প্লান্টের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তবে কোম্পানিটির পাওয়ার প্লান্ট দুইটির চুক্তির মেয়াদ নবায়ন করেনি বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভোলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি)। ফলে কোম্পানিটির প্লান্ট দুইটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন (ন্যাশনাল গ্রিড) থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রবিবার (৪ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই-সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মত, খুলনায় অবস্থিত ১১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র কেপিসি-২ এবং যশোরের নোয়াপাড়ায় অবস্থিত ৪০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র কেপিসি ৪০ মেওয়াওয়াট নোয়াপাড়া প্ল্যান্ট থেকে বিপিডিপির বিদ্যুৎ কেনা সংক্রান্ত চুক্তি (পিপিএ) কয়েক বছর আগেই শেষ হয়ে যায়। কোম্পানিটির নানামুখী তদবিরে খুলনা পাওয়ারের কাছ আবার বিদ্যুৎ কিনতে রাজি হয় সরকার। কেন্দ্র দুটির প্ল্যান্ট সচল করার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে চুক্তি থেকে বাদ দেওয়া হয় আগের ক্যাপাসিটি চার্জের শর্ত, যার আওতায় সরকার বিদ্যুৎ না কিনলেও ন্যুনতম একটা অর্থ কোম্পানিকে পরিশোধ করতে হোত। এর পরিবর্তে চুক্তিতে শর্ত রাখা হয়, সরকারের প্রয়োজন হলে বিদ্যুৎ কিনবে এবং তখন ওই বিদ্যুতের দাম পরিশোধ করা হবে। এর আলোকে কোম্পানিটি ‘নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট’ ভিত্তিতে তার প্ল্যান্ট পরিচালনা করতে পারবে।
তবে দীর্ঘ সময়েও সরকার কোম্পানিটিকে কোনো বিদ্যুতের চাহিদা জানায়নি। তাই কোম্পানি কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিক্রি করতে পারেনি। গত বছরের ২৪ মার্চ ওই চুক্তিও শেষ হয়ে যায়। চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ওই চুক্তিও নবায়ন করেনি সরকার।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন